নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের সাত দিন পর আল-আমিন (৩৫) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদির বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ৯ জানুয়ারি থেকে ওই যুবক নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আল-আমিন উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মো. জাকারিয়ার ছেলে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে বিলের মধ্যে জমির আলে রাখা আগাছার স্তূপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্ল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, সকালে স্থানীয় এক কৃষক তাঁর জমিতে চাষের জন্য যান। ধানখেতের আলে রাখা আগাছার স্তূপে আগুন ধরাতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান তিনি। পরে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি প্রায় গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর শরীরে প্রাথমিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সময় ও কারণ জানা যাবে। তবে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, স্থায়ীভাবে কোনো পেশা ছিল না আল-আমিনের। একাধিক চুরির ঘটনায় তিনি পিটুনিও খেয়েছেন। ৯ জানুয়ারি থেকে তাঁর কোনো খোঁজখবর জানেন না পরিবারের লোকজন। ওই দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। ওই যুবক প্রায় সময় এমন নিখোঁজ থাকেন বলে পরিবারের লোকজনও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। পুলিশের ধারণা, কেউ খুন করে ওই যুবককে খেতের আলে আগাছার স্তূপে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
এ ঘটনায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আহসান উল্ল্যাহ। তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন থানায় আছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আরও বিস্তারিত জেনে তারপর মামলা হবে।