বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে এবার ১ নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু সমুদ্রে নেমেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এই সাঁতার শুরু হয়। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ হচ্ছে ‘বাংলা চ্যানেল’।
১৭তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২২-এর আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতে গিয়ে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে সেন্ট মার্টিন সৈকতে সাঁতারুদের একটি দল অনুশীলন করেছে। এই আয়োজনে সহযোগিতায় আছে ভিসাথিং, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন তিনি। এ ছাড়া আয়রনম্যানখ্যাত মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত এবারের আসরে অংশ নিয়েছেন।
এবারের আসরে অংশ নেওয়া অন্য সাঁতারুরা হলেন—মোছা. রেজিনা পারভিন, মো. মনিরুজ্জামান, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. শোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জ্বল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, এস এম শাহরিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আবদুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এস কে রায়হান আরাফাত, মো. তারেক হাসান, আবদুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান।
লিপটন সরকার বলেন, আন্তর্জাতিক রীতি মেনে এই সাঁতার পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর এই নৌপথে সাঁতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয় হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।