সিলেটের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছেন বলে দাবি করেছেন সিটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান। আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় তিনি নির্বাচন বর্জন করার বিষয়টি উল্লেখ করে নগরবাসীকে অভিনন্দনও জানান।
এর আগে ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় রাতেই মাহমুদুল হাসান সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। মাহমুদুল সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
বিবৃতিতে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সিলেট নগরের সচেতন জনগণ অথর্ব, দলান্ধ ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনের নির্বাচন বর্জন করেছে। শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীদের কিছু ভোটার কেন্দ্রে গেছেন। একটি সংগঠনের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা এবং পরে এ নিয়ে সিইসির (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জঘন্য মন্তব্য বলে দেয়, এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও সিইসির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এমনটা আশা করা যায় না; বরং ভোটাররা নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কায় ভীত থাকেন। সিলেটে আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় সিলেটের সচেতন জনগণও নির্বাচন বর্জন করেছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন। আমার কথায় সাড়া দিয়ে সিলেট সিটি নির্বাচন বর্জন করায় সিলেটের আপামর জনসাধারণকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
আজ বুধবার সিলেট সিটিতে পঞ্চমবারের মতো ভোট হয়। এতে মেয়র পদে মাহমুদুল হাসান ছাড়াও সাতজন মেয়র প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন শেষে এখন ফলাফল ঘোষণা চলছে।