আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নরসিংদী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নরসিংদী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন

নরসিংদীতে ‘অযৌক্তিক’ ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে বাস টার্মিনাল অবরোধ

নরসিংদী থেকে ঢাকাগামী মেঘালয় লাক্সারি পরিবহনের বাসে অযৌক্তিক ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা ওই পরিবহনের বাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নরসিংদী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেঘালয় লাক্সারি পরিবহন বর্জনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির কারণে ওই টার্মিনাল থেকে মেঘালয় লাক্সারি পরিবহনের কোনো বাস আজ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোনো বাস ওই টার্মিনালে ঢোকেনি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকে টার্মিনালে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে।

অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ১২ পয়সা। নরসিংদী থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। এই হিসাবে, যাত্রীপ্রতি নির্ধারিত ভাড়া হওয়া উচিত ১১০ টাকা। অথচ নরসিংদী থেকে ঢাকাগামী এক পরিবহনের বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে টার্মিনালে বিকল্প কোনো পরিবহন নেই। ফলে দৈনিক কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভাড়া কমানোর ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই পরিবহন বর্জন করা হলো। বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাস চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

কয়েকজন যাত্রী জানান, প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে তারা (মেঘালয় লাক্সারি পরিবহন) সিন্ডিকেট করে ৪০ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। এটা অযৌক্তিক এবং কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাড়তি ভাড়া নেওয়া ছাড়াও কাউন্টার ছাড়া যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তুলছে তারা। এসব কারণে সাধারণ যাত্রীরা নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভাড়া কমানোর পাশাপাশি তাদের যাত্রীসেবার মানও উন্নত করা দরকার।

সাঈদ সনো নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেঘালয় লাক্সারি পরিবহনের মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। ভাড়া কমানো না হলে অর্থাৎ আলোচনায় কোনো সমাধান না এলে আমরা আরও কঠোর হব।’

নিয়ম লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি এ এইচ এম জাহাঙ্গীরের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাস টার্মিনালের কাউন্টারে কোনো বাসমালিক অথবা কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি।