তাহসীন বাহার
তাহসীন বাহার

কুমিল্লায় তাহসীন বাহারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সশস্ত্র হামলা ও গুলি করে আহত করার অভিযোগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহারসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিএনপির এক নেতা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ী নন্দনপুর এলাকায় আন্দোলন চলাকালে হামলার অভিযোগে আজ সোমবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সরকার পতনের পর অভিযুক্ত সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

বাদী আবু সাঈদ কুমিল্লা নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব। মামলায় তিনি আন্দোলনে হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

মামলায় তাহসীন বাহারকে প্রধান আসামি করে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনকে। তাহসীন বাহার কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিনের মেয়ে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সিটি করপোরেশনের পাঁচ কাউন্সিলরসহ ১০৫ জন। বাকি আসামিরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ী এলাকার নন্দনপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল হয়। ছাত্র–জনতার মিছিলে তাহসীন বাহারের নির্দেশে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। মামলার বাদী নিজেও হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।

মামলার বাদী বিএনপি নেতা আবু সাঈদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সেদিন আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমি মামলাটির সঠিক তদন্ত ও আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’