বিএনপি
বিএনপি

খুলনায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা নগর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাইকগাছা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়কের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা বিএনপি।

গতকাল বুধবার রাতে মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান, খুলনা নগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে বহিষ্কার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম (মনা) ও সদস্যসচিব শফিকুল আলম (তুহিন)।

বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য মঈদুল হক, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য খায়রুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য নুর আলম ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ হাসান।

১১ আগস্ট নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় খুলনা মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় নগর বিএনপি।

এ দিকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিয়ার রহমানকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় পদসহ বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মশিয়ারের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মশিয়ার তাঁর লোকজন নিয়ে গদাইপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর চালান। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনের বাড়িও ছিল।

১০ আগস্ট খুলনায় হিন্দু ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হক ও সদস্য কিশোর মণ্ডলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। জেলা বিএনপি থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই দিন রূপসা উপজেলা শ্রীফলতলা ইউনিয়নের পাঁচ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।