ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়িতে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়িতে

চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আটকালেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

কোটা বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৩০০ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থী জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়িতে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে পদুয়ার বাজার পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে ফিরে যান। ‘বাংলা ব্লকেড’– কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়ক অবরোধ করেন বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসাইন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটার বৈষম্য দূর করতে হবে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চাই। আর তা না হলে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’ মো. মোহন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক আন্দোলনে আছি। আশা করি, সরকার একটি সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এদিকে মহাসড়ক অবরোধ করায় ভোগান্তিতে নাকাল যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা। জ্যামে আটকা পড়া বাসচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বিকেলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। আজ সকালেই হাজির তাঁরা। যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসেছি। এখন কোটবাড়িতে আটকে আছি। শুনেছি, তাঁদের আন্দোলন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। যদি তা–ই হয়, তাহলে কী করব, বুঝতে পারছি না।’

ট্রাকচালক ইউসুফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যেভাবে মহাসড়ক অবরোধ করেন, তাতে মহাসড়কে চলাচলরত চালক, যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।

আন্দোলনস্থলে আছে সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, প্রতিটি বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানাচ্ছেন।