কৃষক লীগের পদে থেকে তিনি প্রার্থী হলেন বিএনএমের

বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন মো. রেজাউল ইসলাম। গতকাল বিকেলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মো. রেজাউল ইসলাম রাজু। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. খালিদ হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

নতুন রাজনৈতিক দলের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তিনি পরিচিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ নেতা হিসেবে। আছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগ বাগেরহাট জেলা শাখার সহসভাপতি পদে। রেজাউল ইসলাম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রচারে।

মনোনয়নপত্র জমাদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনএমের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা অনুন্নত ও অবহেলিত। এই উপজেলা দুটিকে উন্নয়নশীল ও উন্নত করার জন্য তিনি প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা। এ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে পদক্ষেপ রয়েছে, তার সব সুযোগ-সুবিধা এ এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি বিএনএমের জেলা কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে কৃষক লীগেরও পদে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি আমার এলাকার স্বার্থে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এখান থেকে নমিনেশন নিচ্ছি। নির্বাচিত হলে হয়তো কৃষক লীগ থেকে পদত্যাগ করব।’

সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে বিএনএমের জেলা সভাপতির নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি। দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নামও তিনি বলতে পারেননি। একপর্যায়ে মুঠোফোন নিয়ে নেতাদের নাম জানতে একজনকে ফোন করেন। তাঁর সঙ্গে কথা শেষ হলে জানতে চাওয়া হয় দলটির জেলা কার্যালয় কোথায়? এ প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক এগিয়ে এসে জেলা কার্যালয়ের ঠিকানা দেন। সোলাইমান শিকদার নামের ওই যুবক বলেন, তিনি বিএনএমের জেলা কমিটির সভাপতি। নির্বাচনে অংশ নিতে বাগেরহাট-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

বাগেরহাট জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনি মল্লিক বলেন, রেজাউল ইসলাম জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন। তিনি দল থেকে পদত্যাগ না করে অন্য দলে যোগ দিয়ে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে শুনেছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।