গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন ভবানীপুর এলাকায় বিগবস করপোরেশন লিমিটেড নামের কারখানায় শ্রমিকদের দেওয়া আগুন প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে প্রচুর ধোঁয়া রয়েছে। ডাম্পিং হতে সারা রাত লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের সারোবো এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলন শুরু করেন। এর জেরে আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং আশপাশের কিছু কারখানাও ভাঙচুর করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল শ্রমিক বিক্ষোভ করে ভবানীপুর এলাকার বিগবস করপোরেশন লিমিটেড কারখানার ওয়্যারহাউসে অগ্নিসংযোগ করেন। সেখানে মূল্যবান ফেব্রিকস ছিল। আগুন দেওয়ার পর শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আশপাশে অবস্থান নেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলে একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা একটু দূরে অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
বিগবস করপোরেশন লিমিটেড কারখানার স্টোরকিপার ওয়াহেদ খান বলেন, ‘বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকেরা বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা বিগবস কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় এসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। পরে শ্রমিকেরা কারখানার ওয়্যারহাউসে অগ্নিসংযোগ করেন। সেখানে আমাদের মূল্যবান ফেব্রিকস রয়েছে। এ ছাড়া এর আশপাশে বসতবাড়ি ও দোকানপাট রয়েছে।’
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘কারখানায় আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যায়। পরে শ্রমিকেরা আমাদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে কর্মীরা চলে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করা হয়। অনেক মালামাল ও ফেব্রিকস ছিল। প্রচুর ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে ডাম্পিং চলমান। ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ হতে সারা রাত লেগে যেতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ডাম্পিং শেষে তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের (জোন-২) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। রাতেই হয়তো শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।’