ভারতে পাচারের সময় দুটি সীমান্ত থেকে ৮৯৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আজ বুধবার ভোরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে এসব ইলিশ জব্দ করা হয়। সিলেট ৪৮ বিজিবি ও সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দুটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
সিলেট ৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) আওতাধীন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার বিওপির ঘিলাতলী সীমান্ত এলাকায় টহল দল আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারকালে ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে এসব মাছ ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ করতে বিজিবির অভিযান কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জব্দ করা ২৭৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ স্থানীয় কাস্টমসে জমা করা হবে।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবির খাড়েরা বিওপির একটি দল। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে খাড়েরা সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিরা ৩১টি বাক্সে থাকা ৬২০ কেজি ইলিশ রেখে পালিয়ে যায়। বুড়িচং উপজেলার ২০৬৭ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ১০০ গজ ভেতরে উত্তর আনন্দপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে ইলিশগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, ‘ভারতে অবৈধভাবে পাচারের সময় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধীন খাড়েরা বিওপির সদস্যরা ৬২০ কেজি ইলিশ জব্দ করে। পরে বিজিবির নিয়মানুযায়ী সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জেনেছি।’