যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাঠি লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ট্রাকের চালক পারভেজ হোসেন ও তাঁর সহকারী মো. নাজমুল (২৬)। এর মধ্যে পারভেজ ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার মো. বাহাদুরের ছেলে এবং নাজমুল মহেশপুর উপজেলার মো. মফিজুর রহমানের ছেলে।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিলাহাটি থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন আজ সকালে যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাঠি রেলক্রসিংয়ে পৌঁছায়। এ সময় যশোর থেকে চৌগাছাগামী একটি ট্রাক অসাবধানতাবশত লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়ে। মুহূর্তে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ট্রাকে থাকা চালক পারভেজ ও সহকারী নাজমুল ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার পর ওই লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বে থাকা পাহারাদার সজল কুমার আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাকটি আটকানোর চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হন। ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে গেলে যন্ত্রাংশের আঘাতে তিনি আহত হন।
তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, পাহারাদার সজল কুমার রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি সময়মতো ক্রসিংয়ের প্রতিবন্ধক নামাতে পারেননি। প্রতিবন্ধক নামানো নেই দেখে ট্রাকের চালক নির্বিঘ্নে ক্রসিং পার হতে যান। এতে ট্রেনটি সজোরে ট্রাকে ধাক্কা দেয়। ক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক নামানো থাকলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রতিবন্ধকটি ভেঙে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনার পরও সেটি অক্ষত আছে।
রেলওয়ে পুলিশের খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই লেভেল ক্রসিংয়ে এ পাহারাদারের কোনো অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলওয়ে পুলিশের যশোর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।