সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে: ইসি আলমগীর

মাদারীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, পূর্বের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপাকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি কোন কোন দেশ থেকে কারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে, তাদের তালিকা নির্বাচন কমিশন হাতে পেয়েছে। বিদেশিরা নির্বাচন দেখতে আসবে না, এমন কথা কেউ এখনো বলেনি।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ঠিক করা হয়েছে। এমনকি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলায় যাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী রয়েছে, তাদের সঙ্গে মতবিনিমিয় হচ্ছে। যাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।

মতবিনিময় সভায় মাদারীপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, সে ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলে উল্লেখ করেন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত অন্য একজনকে চাপিয়ে দিতে পারে না। বাস্তবতার ক্ষেত্রে পূর্ব–অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, একটি নির্বাচনে সব ধরনের রাজনৈতিক দল অংশ নেয় না।

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে আবারও আহ্বান জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে আহ্বান করা হচ্ছে। এখনো বলা হচ্ছে। শুধু বিএনপিকে একাই নয়, ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান করেছে কমিশন। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন রাজি আছে।

এ সময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।