হবিগঞ্জের বাহুবলে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. সালেহ আহমেদ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৩৫), হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার নোয়াহই গ্রামের মহিব উল্লার ছেলে মনির মিয়া (২২) ও হাজিমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার ছেলে আবদুল হান্নান (৪০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার লামাপুটিজুরি গ্রামের সন্দ্বীপ দাস তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে উপজেলার দ্বিগম্বর বাজারের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি পেশায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী। সন্দ্বীপ ব্যবসার কাজে সুনামগঞ্জে ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ দিবাগত রাতে আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাঁর বাসায় প্রবেশ করেন। ডাকাতেরা ঘর থেকে ২৫ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেন।
একপর্যায়ে গৃহকর্তার স্ত্রী অঞ্জলি মালাকার (৩৫) ও মেয়ে পূজা মালাকারকে (৮) হত্যা করে পালিয়ে যান ডাকাতেরা। সন্দ্বীপ দাস পরদিন ভোরে বাসায় এসে দেখেন, বাসার দরজা খোলা। মেঝেতে পড়ে আছে স্ত্রী ও মেয়ের গলাকাটা লাশ। ঘটনার পরদিন নিহত অঞ্জলির স্বামী সন্দ্বীপ দাস বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রজিত সরকার তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।