নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে, কোনো সন্দেহ নেই: ইসি আলমগীর

মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, ‘একটি সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। আগামী ২৯ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। এখানে নির্বাচন না করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন করতেই হবে। নির্বাচন না করা হলে সরকার কে থাকবে? এই যে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হবে, ওই শূন্যতার দায় কে নেবে? নির্বাচন কমিশন কি দায় নিতে পারে? এই দায় নিতে পারে না। জাতিও এই দায় নিতে পারে না। সরকারও এই দায় নিতে পারে না। কেউ নিতে পারে না। অতএব নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বিএনপি যদি এসে বলে আমরা নির্বাচন করব, আমাদের প্রস্তুতি কম বা প্রস্তুতি নেই। আমাদের জন্য নির্বাচনের শিডিউল যতটুকু পেছানো সম্ভব ততটুকু পেছান, সে ক্ষেত্রে আমরা কনসিডার (বিবেচনা) করব বলে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অলরেডি বলেছেন। আমরা মনে করি, সে ক্ষেত্রে কমিশনার বিবেচনা করবেন।’

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কমিশন সবই করবে উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য যাঁরা আছেন বা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, সবার চেষ্টা থাকবে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য যত রকম প্রচেষ্টা নেওয়া দরকার, তার সবগুলোই আমরা নিয়েছি। আমরা আশা করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অতীতে সব জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী ছিল, এবারও সেনাবাহিনীর মাঠে থাকার সম্ভাবনা আছে।

এর আগে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তাসহ নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ইসি মো. আলমগীর। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতিহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।