কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া থেকে  অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ সকালে

কক্সবাজারে অভিযান

বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ ৮ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের সদরে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ আটজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় আজ শুক্রবার ভোর চারটা থেকে পরিচালিত এই অভিযানে ছিলেন সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। অভিযানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাইজপাড়ার কবির আহমদের ছেলে কলিম উল্লাহ (৩৪), ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩৭), শফিউল্লাহর ছেলে হাসান শরীফ লাদেন (২০), মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. শাহিন (২৩), মাহাবুল্লাহর ছেলে মো. মিজান (২০), কবির আহাম্মদের ছেলে আবদুল মালেক (৪৮), মাহমুদুল হকের ছেলে আবদুল হাই (২৪) ও আবদুল আজিজ (২৫)।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩টি ওয়ান শুটার গান, ২টি এলজি, ৪৮টি গুলি, ৩টি ম্যাগাজিন, ৮টি ধারালো অস্ত্র ও ১টি চেইন উদ্ধার করা হয়।

অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে মামলা করা হয় জানিয়ে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, পিএমখালীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যৌথ বাহিনী পিএমখালীতে মাইজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ আটজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এলাকার নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অন্য সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, জেলার মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, উখিয়া, রামু, ঈদগাঁও, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার সদর উপজেলায় কয়েক শ চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালীর ছত্রচ্ছায়ায় থাকা লোকজনের হাতে চার হাজারের বেশি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ঘোষণার নির্ধারিত সময়সীমাতে জমা পড়েনি লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের ১০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র। বেশির ভাগ শটগান, পিস্তল ও রিভলবার। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে যৌথ বাহিনী।