বাড়িতে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান, পানিভর্তি গর্তে মিলল দুজনের লাশ

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শৌচাগার তৈরির জন্য নির্মিত পানিভর্তি গর্ত থেকে এক সাঁওতাল নারীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ৯ নম্বর কুচদহ ইউনিয়নের মালভবানি পাঠকপাড়া গ্রাম থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কুচদহ ইউনিয়নের খালিদপুর গ্রামের শালপাড়ার পেশকার আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫)। পেশায় তিনি পানদোকানি। অন্যজন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চকগোপাল সরকারপাড়ার শুকু পাহানের স্ত্রী শারতি পাহান (৬০)। পেশায় তিনি ভিক্ষুক।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মালভবানিপুর টাটকপুর এলাকার এক সাঁওতাল পরিবারে এক মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই দিন গভীর রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়েবাড়ির অতিথিরা মদ পান করেন। একপর্যায়ে মদ্যপ অবস্থায় শারতি পাহান বিয়েবাড়ির পাশে শৌচাগার তৈরির জন্য খুঁড়ে রাখা পানিভর্তি গর্তে পড়ে যান। তাঁকে তুলতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় পাশে থাকা সিরাজুল ইসলামও গর্তে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন গর্ত থেকে দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরদিন সকালে বিয়েবাড়ির লোকজন স্থানীয় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করে।

নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সিরাজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে মালভবানীপুর পাঠকপাড়ার একটি সাঁওতালপল্লি থেকে একজন সাঁওতাল নারীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিয়েবাড়িতে অতিরিক্ত মদ পান করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ির পাশের গর্তে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর পরনের কাপড়ে প্যাঁচানো অবস্থায় একটি বাংলা মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।