গাজীপুর শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসার সুপারের অপসারণ দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী সড়কের মাওনা চৌরাস্তার উত্তরে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় এই অবরোধের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, বেলা পৌনে একটার দিকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সড়কের পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে বেলা একটার দিকে তারা উপজেলার টেপিরবাড়ি দেওপাড়া হাজী আবদুল ওয়াহাব দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবুল মুনসুরের বিরুদ্ধে মিছিল করতে করতে মহাসড়কের ওপরে অবস্থান নেন। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক ছেড়ে গেলে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসার মাঠে খেলাধুলা করায় শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ, টেপিরবাড়ি আনসার উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মো. তাহসিন ও মো. আবদুল্লাহকে মারধর করেন মো. আবুল মুনসুর ও তার ছেলে মো. শোয়েব। এ ঘটনার জেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটির কিছু শিক্ষার্থী ঐক্যবদ্ধ হন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকেরাও। তাঁরা অধ্যক্ষ মো. আবুল মুনসুরের অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী মো. নাঈম বলে, মাদ্রাসা মাঠে খেলাধুলা করার সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষর ছেলে মো. শোয়েব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এই ঘটনার বিষয়ে তাঁর বাবা অধ্যক্ষ মো. আবুল মুনসুরের বিচার দিতে গেলে দ্বিতীয় দফা তাঁরা দুজন মিলে ওই তিন শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ও অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে তাঁরা মঙ্গলবার দুপুরে সড়কে নেমেছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ মো. আবুল মুনসুর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করিনি। বরং এ ঘটনায় আমার ছেলেসহ অভিযুক্ত সবার বিচার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য নয়।’
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি তারা যেন সড়ক অবরোধ না করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ জানায়। এরপর তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়।’