ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট করে কোনো লাভ হবে না, ভেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছেন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। আজ রোববার বিকেলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের অনুমতি পেলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন।
সাইফুল ইসলাম জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এবং রাজশাহী মহানগরের সভাপতি। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি সুবিধা করতে পারছিলেন না। ইশতেহার ঘোষণার সময় নিজেরা হট্টগোলে জড়ান। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রার্থী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, তাঁর কোনো দল নেই।
এর আগে জাপার প্রার্থীর প্রচার মিছিলে লাঙ্গল প্রতীকের পরিবর্তে নৌকা প্রতীকের স্লোগান শোনা যায়। তিনি কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প করেননি। জেলা ও মহানগর জাপার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মাত্র চারটি মাইকে তাঁর প্রচার কার্যক্রম চলছে। নগরের খুব কম জায়গায় তাঁর পোস্টার চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছেন জাপার প্রার্থী।
সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে ভোট করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ভোটের রেজাল্ট হয়েই আছে। ২১ জুন ভোটে কী ফলাফল হবে, তা এখন বলে দেওয়া যায়। তাঁর দাবি, ইভিএমে ভোট করে খুলনা ও বরিশালে কারচুপি করা হয়েছে। বরিশালের মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কোন দলের প্রার্থীর ফলাফল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেটা তিনি বলতে পারেননি। হাতপাখার প্রার্থী কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁরা সেটাই শুনেছেন।
শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাপার প্রার্থী বলেন, ‘শুধু শোনা কথা নয়, এখানেও তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে সরকারি দলের হেভিওয়েট প্রার্থী আছে। তাঁরা তাঁদের মতো করে ফলাফল করে নেবেন। রাজশাহীর মানুষ পরিবর্তন চায়। সেটা কি এই প্রার্থী হতে দেবেন?’
রাজশাহীতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ পরিবর্তন চাইবেন কেন প্রশ্ন করলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম তো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এটা তো শুধু রাজশাহীর নাগরিকদের সমস্যা নয়, সারা দেশে একই চিত্র।’ তিনি বলেন, তিনি সুবিধা করতে পারছেন না। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চান। গোপনে বসে যাবেন না। সংবাদ সম্মেলন করে এসেছেন, কেন্দ্রের অনুমতি পেলে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়াবেন। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সুবিধা করতে পারছেন না নাকি অন্য কারণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়, তাঁরা তো মাঠে আছেন, কাজ করছেন। ইভিএমের কারণে তিনি নির্বাচন করতে চাচ্ছেন না। খুলনা ও বরিশালে যেমন ভোট হয়েছে এখানেও তাই হবে। ভোট করে কোনো লাভ হবে না।