জামালপুরে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, একজন নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আলীর পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম (৫২)। তিনি আলীর পাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। আবুল কাশেম পেশায় কৃষক ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার আলীর পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলামের মোটরসাইকেলের চাপায় একটি ছাগল মারা যায়। ওই ছাগলের মালিক আলীর পাড়া গ্রামের আবু মিয়া। এ ঘটনায় আবু মিয়ার লোকজন ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। পরে ওই শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গাজী আমানুজ্জামানকে বিষয়টি জানান। গাজী আমানুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদ করেন।

এ সময় ছাগলের মালিক আবু মিয়ার পক্ষ নেন গ্রামের আরেক প্রভাবশালী আবদুর রউফের ছেলে ফরিদ মিয়া ও তাঁর লোকজন। ওই ঘটনায় ওই দিনই গাজী আমানুজ্জামান ও ফরিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এর জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গাজী আমানুজ্জামানের পক্ষের আবুল কাশেম ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ফরিদ মিয়া পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামের আধিপত্য বিস্তারসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের জখমের চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।