চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে শঙ্খ নদের চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে ওই চার কিলোমিটারে যেকোনো সময় বেড়িবাঁধ পুরোপুরি ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গ কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ নদে পানি বেড়ে যায়। এ সময় জোয়ারের তোড়ে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের সাপমারা খাল থেকে খুরুস্কুল গোদারপাড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে অন্তত চার কিলোমিটারে ভাঙন দেখা দেয়। এর মধ্যে বেশ কিছু স্থানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে পানি আবার বাড়লে বাঁধ পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল, মাতবর হাট থেকে শান্তির হাট ও গোদারগোড়া, এবং রব্বাত মিয়ার বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার এলাকায়।
ইউনিয়নের ১৫ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে দুই কিলোমিটার অংশে সিসি ব্লক বসানো রয়েছে। কিছু স্থানে রয়েছে জিও ব্যাগ। অবশিষ্ট অংশে কেবল মাটির বাঁধ।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের পাশেই রয়েছে বেশ কিছু বসতঘর। নদে পানি বাড়লে এসব ঘর প্লাবিত হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শঙ্খ নদের ভাঙনে গত এক দশকে দুই শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়েছে। বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন আরও ১০ হাজার মানুষ।
জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোরশেদুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধের কাজে অনিয়ম হওয়ায় পুরো ইউনিয়ন এখন হুমকির মুখে। দ্রুত সিসি ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না গেলে ইউনিয়নের বড় অংশ শঙ্খে তলিয়ে যাবে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ বলেন, উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদণ্ডী হচ্ছে উপকূলীয় ইউনিয়ন। সাম্প্রতিক বন্যায় জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের প্রায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই ইউনিয়নের জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সিসি ব্লক দিয়ে সংস্কারের জন্য এসব টাকা ব্যয় হবে।