রংপুরের তারাগঞ্জে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল হোসেন। তিনি ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহন বাসের যাত্রী ছিলেন। বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামে। তাঁর দাবি, বৃষ্টি শুরু হলে তাঁদের বাসটি হঠাৎ রাস্তার বাম থেকে ডান দিকে চলে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।
রুবেল হোসেন আজ সোমবার সকালে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। তখন ইসলাম পরিবহন বাসটি হঠাৎ বাম থেকে ডান দিকে চলে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী জোয়ানা পরিবহন বাসের সঙ্গে আমাদের বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিকট শব্দ হয়। হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন যাত্রীরা। স্থানীয় লোকজন বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ির জানালা ভেঙে আমাদের উদ্ধার করেন। আমাদের বাসটি ডান দিকে চলে না গেলে হয়তো এই দুর্ঘটনা ঘটত না। গাড়ির সামনের দিকে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
ঘটনাস্থলের পাশের নদীর পাড় গ্রামের বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, ‘ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ সড়কের দিকে বিকট শব্দ হয়। শব্দ শুনে ছাতা নিয়ে বের হয়ে দেখি, একটি বাস আরেকটি বাসের ভেতরে ঢুকে গেছে। যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদছেন। পরে আরও লোকজন মিলে জানালা ভেঙে যাত্রীদের বের করি। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চলে আসেন।’
গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ইকোরচালী হাজীপাড়া খারুভাজ সেতুর কাছে সৈয়দপুরগামী জোয়ানা পরিবহন ও ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যান।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোর্শেদ দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।