আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়নের পালে হাওয়া লেগেছে। শেখ হাসিনা মনেপ্রাণে দেশ ও মানুষের মঙ্গল চান। তিনি এবং আমরা যাঁরা তাঁর অনুগত হয়ে কাজ করছি, সবাই আরও কাজ করতে চাই। তাই উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২১ ও ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের জন্য ১০ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘শিক্ষা-সংস্কৃতির পাশাপাশি উন্নয়নের দরকার আছে। আমরা গ্রামের মানুষের জন্য, হাওর, চর, পাহাড়, উপকূল সব এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। আরও কাজ করতে হবে।’ আগামী নির্বাচনে অনেকে ভোটের জন্য আসবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সচেতনভাবে মাথা তুলে বলতে হবে, আমরা কী চাই? তাঁরা তা দিতে পারবেন কি না? তাঁরা দরিদ্র মানুষের জন্য কখনো কিছু করেছেন কি না? আমরা কাজ করেছি এবং করছি। তাই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিবেচনায় রাখবেন।’
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা) আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২০২১ সালের জন্য প্রবীণ লোকসংগীতশিল্পী কুমকুম চন্দ, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষণায় কবি ইকবাল কাগজী, কণ্ঠশিল্পে মো. আপ্তাব মিয়া, যাত্রাশিল্পে কাজলী রানী সাহা, নাট্যকলায় চিকিৎসক সালেহ আহমদ আলমগীর। ২০২২ সালের সম্মাননা পাওয়া গুণীজনেরা হলেন সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক সুমনকুমার দাশ, নাট্যকলায় মো. তফাজ্জল হোসেন, কণ্ঠশিল্পে রূপশ্রী রায়, লোকসংগীতে মো. কালা মিয়া, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক অমিয়াংশু চৌধুরী।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি ইকবাল কাগজী, লেখক ও গবেষক সুমনকুমার দাশ, সংগীতশিল্পী মো. আপ্তাব মিয়া। সংগীত পরিবেশন করেন সালেহ আহমদ আলমগীর, কালা মিয়া, কুমকুম চন্দ। আয়োজকেরা জানান, গত বছর সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার কারণে ২০২১ সালের সম্মাননা অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এবার একসঙ্গে গত দুই বছরের সম্মাননা দেওয়া হয়।