সরকার নদ-নদী খনন না করায় সিলেটে বন্যা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে খাবার ও নগদ সহায়তা বিতরণের সময় তাঁরা এই অভিযোগ করেন। এ সময় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানানো হয়।
জেলা বিএনপির উদ্যোগে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও বানভাসি ৫০০ মানুষের মধ্যে গতকাল রান্না করা খাবার ও নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী অভিযোগ করেন, সিলেটে অসংখ্য মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়লেও তাঁদের উদ্ধারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বিএনপি সুরমা, কুশিয়ারা নদীসহ বিভাগের সব নদ-নদী খননের দাবি জানালেও সরকার এতে কান দেয়নি।
পানিবন্দী মানুষ বারবার উদ্ধারের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েও পাচ্ছে না বলে জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মানুষের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই। বিএনপি জনগণের দল, তাই অতীতের মতো বিএনপিই বন্যার্ত মানুষের পাশে আছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেন, বন্যার পানিতে আটকে থাকা মানুষদের দ্রুত উদ্ধার করার ব্যবস্থা নিন। সিলেটের প্লাবিত এলাকাকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করুন। সরকার পানিবন্দী মানুষের পাশে না থাকলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছে। পাশাপাশি সব প্লাবিত এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি।
এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আহমদ, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলী, দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জেলা বিএনপির মৎস্য উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক জালাল খান, সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহপ্রচার সম্পাদক শাহীন আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।