ময়লার স্তূপে জবুথবু অবস্থায় কাঁদছিল ফুটফুটে নবজাতক

মাদারীপুরে ময়লার স্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতকটি চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছে
ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর পৌর এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে ফুটফুটে এক কন্যা নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার বড়তলা এলাকার একটি চা–দোকানের পাশের ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন পথচারীরা। নবজাতকটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বড়তলা এলাকার সাথী আক্তার তাঁর সন্তানকে নিয়ে সকালে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বন্ধ থাকা একটি চা–দোকানের পাশের ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পান তিনি। এরপর সাথী আশপাশের লোকজন ডেকে জড়ো করেন। পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাথী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সকালে খুব ঘন কুয়াশা ছিল। সঙ্গে প্রচুর ঠান্ডা। এর মধ্যে শিশুটিকে কেউ ফেলে রেখে গেছেন। ঠান্ডায় শিশুটি জবুথবু হয়ে গিয়েছিল। আর কিছুক্ষণ ঠান্ডার মধ্যে থাকলে বাঁচানো সম্ভব হতো না। অনেক কষ্ট পাচ্ছিল শিশুটি। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরে তাঁর ভালো লাগছে।

নবজাতক উদ্ধারের সময় সাথীর সঙ্গে থাকা সিন্থিয়া আক্তার বলেন, ‘সাথী আপু বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে আমাদের ডাক দেন। বাচ্চাটি ময়লার স্তূপে কাপড় আর কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। সাথী আপু বাচ্চাটি তুলে আমার কোলে দেন। পরে তিনি বাচ্চার জন্য তাঁর বাসা থেকে কাপড়চোপড় নিয়ে আসেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা নাইমা ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতকটি ঠান্ডায় আক্রান্ত। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতকটির চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সে সুস্থ। তার বয়স এক দিন হবে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ময়লার স্তূপে কেউ নবজাতকটিকে ফেলে গেছেন। হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। যাঁরা এ কাজটা করেছেন, তাঁদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শিশুটির পরিচয় শনাক্তের কাজও চলছে। আপাতত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের যত্নে থাকবে।