কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের জানা-অজানা অনেক ঘটনা শোনালেন ভারতের কলকাতার প্রখ্যাত রবীন্দ্র-গবেষক পীতম সেনগুপ্ত। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁর একক বক্তৃতা মুগ্ধ হয়ে শোনেন সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীরা। এরপর তিনি শ্রোতাদের রবীন্দ্রবিষয়ক নানা জিজ্ঞাসারও জবাব দেন।
গত রোববার সন্ধ্যা সাতটায় নগরের বারুতখানা এলাকার প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীদের মুখোমুখি পীতম সেনগুপ্ত’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান হয়।
রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিক্ষাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে বিশিষ্টজনদের মধ্যে পীতম সেনগুপ্তের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তুষার কর, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী। পরে মুক্ত আলোচনা হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমর বিজয় সী শেখর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল মুনীর, মদনমোহন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রজতকান্তি ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী (কিম), মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক হাসান মোরশেদ, লেখক রণদীপম বসু ও বিশিষ্ট আইনজীবী অরবিন্দু দাশগুপ্ত। শুরুতেই গবেষক পীতম সেনগুপ্তকে ফুল দিয়ে বরণ করে সূচনা বক্তব্য দেন সুমনকুমার দাশ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কবি মোস্তাক আহমাদ দীন, লেখক জামান মাহবুব, বিধুভূষণ ভট্টাচার্য ও পুলিন রায়, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব শামসুল বাসিত শেরো ও মু. আনোয়ার হোসেন, কবি সুমন বনিক, এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল উদ্দিন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রণবকান্তি দেব, সংগীতশিল্পী জয়িতা তিথি প্রমুখ।
এ ছাড়া বিভিন্ন কলেজ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সদস্যরা।