পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পশ্চিম ছিটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। হুমকিতে ভয়ে ছয় দিন ধরে পরিবারসহ তিনি বাড়িছাড়া। এ ঘটনায় আজ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাবাহিনী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তাসলিমা আক্তার।
তাসলিমা আক্তার বলেন, ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রবের ছেলে আবদুল আহাত ওরফে শাকুলের (২৩) নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তাঁর স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেন বাসায় ছিলেন। তিনি (দেলোয়ার) ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে গিয়েও তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয় এবং আশ্রয় দেওয়ার কারণে ওই বাড়ির এক নারীকে অপমান-অপদস্থ করেছেন সন্ত্রাসীরা।
তাসলিমা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাঁর ঘরে থাকা ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, জমির দলিলপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, চাকরির কাগজপত্র ও দুটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে গেছে রব বাহিনী। এখন তাঁদের ঘরে কোনো মালামাল নেই। তিনি ও তাঁর পরিবারের কেউ বাড়ি যেতে পারছেন না, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে তিনি বিদ্যালয়েও যেতে পারছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত আবদুর রব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এবং তাসলিমার স্বামী দেলোয়ার হোসেন কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ আছে। এই বিরোধের জেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুর রব বলেন, ‘কিছু হয়নি, তা বলব না। তবে যেভাবে বলা হচ্ছে, সেভাবে হয়নি। দেলোয়ার তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে অনেকভাবে হয়রানি করেছেন।’
জানতে চাইলে বাউফলের ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, পুলিশ থানার বাইরে বের হতে চাচ্ছে না। এ কারণে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে সেনাবাহিনীর কাছে পাঠিয়েছেন।