‘আওয়ামী লীগ সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে’

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে জেলা বিএনপির ত্রাণ বিতরণ। সোমবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের ‘পাতি নেতা’ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মহল, এমনকি সরকারের সহযোগী আমলারাও লাগামহীন লুটপাট করে দেশের টাকায় বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এ লুটপাটের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে দেশের সংকট কেটে যাবে। আজ সোমবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলীখাল ও ইছাকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।

এ সময় জেলা বিএনপির উদ্যোগে ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিনের সহযোগিতায় ৫৮০ জন বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের অবহেলা আর অদক্ষতার কারণে সিলেটে বারবার বন্যা হচ্ছে। সুরমা, কুশিয়ারাসহ সিলেটের সব নদ-নদী খনন করার জন্য বারবার তাগিদ দিলেও সরকার এতে কান দিচ্ছে না। উল্টো এক ব্যক্তির বিলাসিতার জন্য হাওরজুড়ে রাস্তা নির্মাণ করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষকে বারবার পানিবন্দী করে রাখছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবরের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে। অথচ তারা সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জভাবে দলীয়করণ করে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তাদের দলের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তা দেখলেই বোঝা যায় আরও ওপরে কী হচ্ছে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে পাচার হওয়া সব অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আজকে দেখলাম, সরকারের এক মন্ত্রী বন্যার্তদের সহযোগিতার অজুহাতে রাজকীয় ভ্রমণে সিলেটে এসে বিএনপিকে দোষারোপ করছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, এক-এগারোর পরে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে নির্লজ্জ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে গেছে। তাদের ক্ষমতার মসনদ থেকে বিতাড়িত করতে না পারলে দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপি নেতা হাসান আহমদ পাটোয়ারী, কোহিনুর আহমদ, মাহবুব আলম, শওকত আলী বাবুল, ফরহাদ খন্দকার ও নূরুল মোত্তাকিম, ছাত্রদল নেতা আবদুল সালাম, রুবেল আহমদ, আবদুল মোমিন লস্কর, আবুল আহমদ, রাহেল আহমদ, রাসেল শাহরিয়ার, রাজু আহমদ, সোলেমান সিদ্দিকী প্রমুখ।