আওয়ামী লীগের কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে শৈলকুপা থানায় ইটপাটকেল ছুড়ছেন ক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা। রোববার বিকেলে
আওয়ামী লীগের কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে শৈলকুপা থানায় ইটপাটকেল ছুড়ছেন ক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা। রোববার বিকেলে

শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় আরও ৩ জন গ্রেপ্তার, ১১ জন রিমান্ডে

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় এ নিয়ে মোট ১৮ জন গ্রেপ্তার হলেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

নতুন গ্রেপ্তার তিন আসামির নাম সালামত আলী, আবদুল আজিজ ও পিন্টু মিয়া। এর আগে গ্রেপ্তার ১৫ জন হলেন আলী আকবর, হারুন শিকদার, মাহিম শিকদার, জান্নাত আলী, আবদুল ওহাব মোল্লা, রনি বিশ্বাস, সাবের হোসেন, আলামিন, শহিদুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, উজ্জ্বল শেখ, আকবর হোসেন, সাব্বির হোসেন, রাজিব আহমেদ ও কুতুব উদ্দীন।

এর আগে থানায় হামলার ঘটনায় গত রোববার রাতে শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক লাল্টু রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই দিন সকালে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেলে দলটির কর্মী-সমর্থকেরা থানায় হামলা করেছিলেন।

ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম নতুন তিনজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শৈলকুপার ৮ নম্বর ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন থেকে গত রোববার রাতে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের আদালতে পাঠানোর পর ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় গতকাল নতুন করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৮ জন গ্রেপ্তার হলেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মোস্তাক সিকদার নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে রোববার বিকেলে দলটির কর্মীরা থানা ঘেরাও করেন। তখন তাঁরা উত্তেজিত হয়ে থানায় ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। এতে ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। ঘটনার সময় পুলিশ হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।