কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামের এক যুবকের নয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে
কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামের এক যুবকের নয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে

পদ্মার চরের ৪ জায়গায় পুঁতে রাখা ছিল যুবকের লাশের ৯ টুকরা

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চারটি জায়গা থেকে এক যুবকের লাশের ৯টি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের টুকরোগুলো সাতটি ব্যাগে রাখা ছিল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের টুকরাগুলো কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

নিহত যুবকের নাম মিলন হোসেন (২৭)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। তিনি স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়ার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। এ কাজের মাধ্যমে তাঁর প্রচুর টাকা আয় হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদার দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সহসভাপতি এস কে সজীবের নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সজীবসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। তাঁদের জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদার দাবিতে এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। জড়িত কয়েকজনকে আটকের পর তাঁদের দেখানো জায়গা থেকে লাশের ৯টি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকালে সজীব নামের এক যুবকের ফোনকল পেয়ে মিলন শহরের ভাড়া বাসার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী মিমি খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মুঠোফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজীবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরে গতকাল বিকেলে অভিযান চালিয়ে সজীবসহ আরও চারজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা মিলনকে হত্যার পর তাঁর লাশ টুকরা করে পদ্মার চরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন।