বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমানসহ তাঁর কর্মী–সমর্থক ২৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার বিল্বগ্রামের বাসিন্দা এইচ এম তারেক বাদী হয়ে মামলা করার আবেদন জানান।
এ বিষয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরজিতে হারিছুর রহমান ছাড়াও গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান মিয়া, সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাতুল শরীফ, গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কে এম মিলন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীবুর রহমান, সদস্য সোহেল সিকদার, মীর নাইয়ান, সাদ্দাম খান প্রমুখের নাম রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাদী এইচ এম তারেক উপজেলার বিল্বগ্রামের সহিদ হাসেম আলীর ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান, মনির হোসেন ও সৈয়দ মনিরুন্নাহারকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ এবং মানহানিকর তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে খুন–জখমের পাঁয়তারাসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।
এ সম্পর্কে হারিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার প্রতি গৌরনদীর সাধারণ মানুষের ভালোবাসা দেখে এবং আসন্ন নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে গৌরনদীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আমার বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।’
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম জানান, ওই মামলার বিষয়ে আদালতের নথিপত্র এখনো হাতে পাননি। মামলার নথি হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।