পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এক দিন আগেই সিলেটে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা সেতু থেকে সিলেটের গণসমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

শুক্র ও শনিবার দুই দিনের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতি। তাই বিএনপির নেতা-কর্মীরা শনিবারের গণসমাবেশে যোগ দিতে আগেভাগেই সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটে যাচ্ছেন।

আজ বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের সুরমা সেতু এলাকা থেকে তাহিরপুর উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনটি বাস সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান নেতা-কর্মীদের বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা। কামরুজ্জামন বলেন, শুধু বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে সিলেটের সমাবেশে যেতে না পারেন, এ কারণে বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অনেক বাসশ্রমিকেরা এটা চাননি, তাঁদের বাধ্য করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের এক দিন আগেই সমাবেশে পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই ইতিমধ্যে চলে গেছেন। যে যেভাবে পারছেন যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিএনপির একজন নেতা-কর্মীকেও আটকানো যাবে না।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা বিএনপি কর্মী সোহেল আহমদ বলেন, ‘শুক্রবার থেকে বাস চলবে না। কিন্তু সমাবেশে তো যেতেই হবে। তাই আজই চলে যাচ্ছি। দুই দিন সিলেটে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকব।’

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন জানান, সিলেটে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা সিলেটে যেতে শুরু করেছেন। কোনো কিছুতেই নেতা-কর্মীদের আটকানো যাবে না। সবাই সমাবেশে যাবেন।

সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের গণসমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সমাবেশস্থলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা সুনামগঞ্জ থেকে যাচ্ছেন। বাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে আমরা সুনামগঞ্জ থেকে পাঁচ হাজার মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেব। নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে, বাস না পেলে নৌকা-লঞ্চে যাবেন। প্রয়োজনে হেঁটে সিলেটে যাব সবাই।’

এদিকে চার দফা দাবিতে সুনামগঞ্জে দুই দিনের বাস ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে মালিক সমিতি। শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।

সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক জানান, তাঁদের চার দফা দাবি হলো—সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী এলাকার এম এ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধ, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অন–টেস্ট সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার ও আধুনিকায়ন। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এসব দাবিতে আমরা আগে থেকেই আন্দোলন করছি। তার ধারাবাহিকতায় এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে বাস ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নাই।’