গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর নগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বিএনপির সাবেক নেতা কামরুল ইসলাম ওরফে কামুকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ সোমবার ভোর চারটার দিকে সদর উপজেলার বাঘেরবাজারের একটি রিসোর্ট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কামরুল ইসলাম ওরফে কামু এরশাদনগর বস্তির ৫ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ও টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে জোড়া খুন, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ মোট ২৩টি মামলা আছে।
কামরুলের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উৎপাতে এলাকাটিতে শান্তিতে বসবাসের উপায় ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন। তাঁরা বলেন, এলাকাটিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ‘কামু বাহিনী’ গঠন করেন কামু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামরুল কয়েকটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন তিনি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আবারও এলাকায় ফিরে আসেন। তখন থেকেই এলাকাটিতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন তিনি। এর মধ্যে গত ২৬ নভেম্বর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এরশাদনগর বস্তির আরেক সন্ত্রাসী বাহিনী আনোয়ার ওরফে টিভি আনোয়ারের লোকজনের সঙ্গে কামরুলের লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন হৃদয় নামের এক তরুণ। এর পর থেকেই এলাকায় আবারও শুরু হয় উত্তেজনা।
কামরুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাজীপুর মহানগর ডিবির উপকমিশনার মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি, এর বাইরে আরও ২১টি মামলার তথ্য পেয়েছি। এগুলোর মধ্যে আটটি মামলাতেই তিনি পরোয়ানাভুক্ত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’