বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. টুটুল খানকে (৪০) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা খেয়াঘাট এলাকায় এ হামলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন টুটুল খানকে উদ্ধার করে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা মো. টুটুল খান বলেন, সন্ধ্যার দিকে তিনি বেতাগী উপজেলা স্থানীয় আকনবাড়ি নামের খেয়াঘাট এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে তাঁর দুই পা গুরুতর জখম হয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য তাঁকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারের পরও তাঁর অপকর্ম থেমে নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেতাগীতে কী হয়েছে তা এখনো আমি ভালো করে জানি না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁরা আগেও আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে পাথরঘাটায় অবস্থান করছি।’
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।