সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে মা-মেয়েসহ নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার সুরমা নদীর ব্রাহ্মণগাঁও এলাকা থেকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ শিশু হাবিবার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
উদ্ধার করা লাশটি গুলজান বিবি (৭০) নামের এক বৃদ্ধার বলে নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোছনা বেগম (৩৫) নামের নিখোঁজ থাকা আরেক নারীর লাশ ভেসে ওঠে সুরমা ইউনিয়নের ভোজনা গ্রামসংলগ্ন নদীতে। অন্যদিকে নিখোঁজ শিশু হাবিবা (২) জোছনার মেয়ে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান বলেন, গুলজান বিবির লাশ নদীর পানিতে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের সুরমা নদীর আজমপুর খেয়াঘাট এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। উপজেলা সদরে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে নদী পার হয়ে সেখানে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন গুলজান, জোছনা ও হাবিবা। তাঁরা আজমপুর এলাকায় সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করতেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি ছোট নৌকায় করে আটজন লোক নদী পাড় হয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পাহাড়ি ঢল নামায় নদীতে প্রবল স্রোত ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝে গিয়ে পানির তোড়ে ডুবে যায়। তখন খেয়াঘাট ও আশপাশের লোকজন কয়েকটি নৌকা নিয়ে সেখানে গিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করেন। বাকি তিনজন পানিতে ভেসে যায়।
ওই নৌকার যাত্রীর দিদারুন নেসা (৪০) জানান, গুলজান বিবি তাঁর ফুফু। তাঁদের পশ্চিম মাছিমপুর যাওয়া কথা ছিল। এ ছাড়া উপজেলা সদরে বন্যার্তদের সাহায্য দেওয়া হবে খবর পেয়ে একসঙ্গে সবাই সেখানে যাচ্ছিলেন। জোছনার সঙ্গে তাঁর দুই মেয়ে হাবিবা ও আফসা (৭) ছিল। নৌকা ডুবে যাওয়ায় সময় জোছনা দুই মেয়েকে ধরতে গিয়ে নিজেই ডুবে যান। দিদারুন নেসাও পানিতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন নৌকায় থাকা তাঁর এক মামা তাঁকে বাঁচান।