সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বারহাল ইউনিয়নের কোনাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষে প্রথম পৌনে দুই ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি। অন্য কক্ষগুলোতেও বেশ ধীরগতিতে ভোট পড়ছে। ভোটের এমন পরিস্থিতির জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীরা জকিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন।
আজ বুধবার সকালে কোনাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ভোটারদের কক্ষের সামনে পাঁচ থেকে ছয়জন দাঁড়ানো। নারী ভোটারদের কক্ষের সামনে দুজন ছিলেন। কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষটি নারী ভোটারদের জন্য। ওই ভোটকক্ষে ভোটার আছেন ৫২০ জন। সকাল ৮টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত ওই কক্ষে ভোট দিয়েছেন ১২ জন। কক্ষটির পাশেই ৪ নম্বর ভোটকক্ষ। সেখানে প্রেমনগর গ্রামের ভোটার আছেন ১৩১ জন। কিন্তু সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত ওই কক্ষে কেউ ভোট দিতে আসেননি। নারীদের ৬ নম্বর ভোটকক্ষে নোওয়াগ্রামের ২৭৪ জন ভোটার আছেন। ওই কক্ষে পৌনে দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ছয়টি।
এ ছাড়া প্রেমনগর গ্রামের পুরুষ ভোটারদের ২ নম্বর কক্ষে পৌনে দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে দুটি। এর বাইরে পুরুষদের ভোটকক্ষ ১ ও ৩ নম্বরে ভোট পড়েছে ৭৮টি।
কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কোনাগ্রামের বাসিন্দা রুহিত আহমদ (২২) বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আজ সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি হলে ভোটার উপস্থিতিতে ব্যাঘাত ঘটবে। এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরে পানি উঠেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অন্যান্য ঘরেও পানি উঠবে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার আছেন ২ হাজার ২২ জন। কেন্দ্রে ভোটকক্ষ আছে ৬টি আছে। এর মধ্যে চারটি পুরুষ এবং তিনটি নারী কক্ষ। বুধবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর পৌনে দুই ঘণ্টায় ৯৬টি ভোট পড়েছে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জ্যোতিষ মজুমদার বলেন, নারী ভোটারের সংখ্যা কম। তবে বেলা বাড়লে ভোটার বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৩ জন ভোটারের মধ্যে ৯৯ হাজার ২২৫ জন পুরুষ ও ৯২ হাজার ২৮৮ জন নারী। বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় জকিগঞ্জের ৫টি ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মরতুজা আহমদ বলেন, উপজেলার ৭৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতে বন্যার পানি আছে। উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। এ অবস্থায় নির্বাচন পেছানোর জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। তবে সেটি কার্যকর করা হয়নি।