ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ভূমি অফিসে সংশ্লিষ্ট অনেকেই দুর্নীতি করেন। এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার–ভূমি) ভালো থাকলেও তাঁর অফিসে অনেকেই নানাভাবে অসৎ কাজ করে যাচ্ছেন। এখন সবকিছু দুর্নীতিমুক্ত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আয়োজনে জনবান্ধব ডিজিটাল জরিপ বিষয়ক এক কর্মশালা হয়েছে। এ সময় অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনার স্মার্ট ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থা বৈধ মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটি অবৈধ দখল রোধ করার পাশাপাশি অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থে ভূমি কেনার প্রচেষ্টাও প্রতিহত করবে। পদ্ধতিগত (সিস্টেম) পরিবর্তনের মাধ্যমে দুর্নীতি নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ভূমি–সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জনবল কম আছে, তা দ্রুত বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। জমিজমার বিষয়ে সচেতনতার অভাবে ত্রুটি হচ্ছে। সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিটি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা এখন লক্ষ্য। দুর্নীতি যে–ই করুক, এখন ধরা পড়ে যায়। কারণ, ভোটার আইডি কার্ডে সবার জমিসহ সব কার্যক্রম রেকর্ড হয়। ফলে দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আহসান হাবীব, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোমিনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, বরিশালের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস।
কর্মশালায় জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভা, ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় ইডিএলএমএস (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) প্রকল্পের অধীন এ কাজ হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরও একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আরও ৩২ উপজেলায় বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) অপারেশন শিগগিরই শুরু করা হবে।