গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাস, দুটি পণ্যবাহী ট্রাক ও দুটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জুনদহ এলাকায়
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাস, দুটি পণ্যবাহী ট্রাক ও দুটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জুনদহ এলাকায়

গাইবান্ধায় হরতালে পিকেটিংয়ের সময় পাঁচটি বাস-ট্রাক ভাঙচুর

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস, দুটি পণ্যবাহী ট্রাক ও দুটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে উপজেলার জুনদহ এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পিকেটিংয়ের সময় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সকাল থেকেই জুনদহ এলাকায় সড়কে অবস্থান নেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া থেকে গাইবান্ধাগামী ফরহাদ স্পেশাল নামের যাত্রীবাহী একটি বাস থামায় পিকেটাররা। পরে তারা যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাস ভাঙচুর করে। এতে কেউ হতাহত হননি। এরপর একই সড়কে রংপুরগামী দুটি পণ্যবাহী ট্রাক ও দুটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর করে তারা। এ সময় ট্রাকচালকেরা নেমে গিয়ে রক্ষা পান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পিকেটাররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রংপুরগামী দুটি পণ্যবাহী ট্রাক ও দুটি ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এ সময় ট্রাকচালকেরা নেমে গিয়ে রক্ষা পান

পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাইছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই সঙ্গে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।