শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছেড়েছেন বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মনোয়ারা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর রাতে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
মনোয়ারা বেগম দায়িত্ব হস্তান্তরের পর ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর কনিকা মিস্ত্রিকে অধ্যক্ষ পদে (চলতি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর নতুন কোথাও পদায়ন না করা পর্যন্ত মনোয়ারা বেগম এই প্রতিষ্ঠানে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে থাকবেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অধ্যক্ষের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ শুরু করেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁরা বাগেরহাটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা হাসপাতাল, প্রেসক্লাব ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান এবং অবস্থা করেন।
এদিকে অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম পদত্যাগ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভাষ্য, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভাউচার–বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এত দিন ভয়ে তাঁরা মুখ খুলতে পারেননি।
ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত এখানে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষের (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) পদায়ন চাই।’
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউট একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এটি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের পদত্যাগের বিষয়টি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) না আসা পর্যন্ত কনিকা মিস্ত্রি দায়িত্ব পালন করবেন।’