নেছারাবাদে ইউপি নির্বাচন

বীরনিবাসে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে জখম

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের বীরনিবাসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। আজ সোমবার সকালে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্য পাটিকেলবাড়ি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা স্থানীয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি বীরনিবাসে আশ্রয় নিলে সেখানেও ভাঙচুর করা হয়। কুপিয়ে জখম করা হয় এক কর্মীকে। এ সময় আহত হন নৌকার আরও তিন সমর্থক।

আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে ইউনিয়নের মধ্য পাটিকেলবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত আলমগীর হোসেন একই গ্রামের মৃত হারুন শেখের ছেলে।

উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গাজী মিজানুর রহমানের সমর্থক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। তবে মিজানুর রহমান দাবি করেছেন, তাঁর কোনো লোকজন এই হামলার ঘটনায় জড়িত নন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা আক্তারের সমর্থক আলমগীর হোসেনসহ ৫ থেকে ৬ জন ৬৯ নম্বর পূর্ব পাটিকেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের ভাই ফুলরাজ গাজীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

হামলাকারীরা সেখানেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আলমগীর হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় তাইজুল মোল্লা (৪৫), রাসেল মোল্লা (৩৫) ও অমিত শেখ (২০) আহত হন। গুরুতর জখম আলমগীর হোসেনকে প্রথমে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘একদল ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজনকে ধাওয়া করলে তাঁরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর ওই ব্যক্তিরা আমার সরকারের দেওয়া বীরনিবাসে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। আমার ঘরের দরজাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে।’

হামলায় অভিযুক্ত রিয়াজ হোসেন ও ফুলরাজ গাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।

নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন, শুনেছেন দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।