সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বাসভবনে হামলার জেরে ছফু আহমদ নামের ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে টিলাগড়ের শাপলাবাগ এলাকার ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ছফু আহমদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে রাজনীতি করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমানের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।
আজাদুর রহমান সিলেট সিটির টানা পাঁচবারের কাউন্সিলর। তিনি আলোচিত ‘টিলাগড় গ্রুপ’-এর একটি অংশের নেতা হিসেবে পরিচিত। ওই গ্রুপের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রণজিত সরকারের পৃথক আরেকটি গ্রুপ আছে।
হামলার অভিযোগ করে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ছফু আহমদ বলেন, টিলাগড় গ্রুপের একটি পক্ষ তাঁর বাসায় হামলা করে ঘরের দরজা, জানালা, ঘরের সামনে রাখা গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। হামলার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। ঘরে পরিবারের নারী সদস্যরা ছিলেন। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাতে কাউন্সিলরের বাসায় হামলার জেরে এমনটি হতে পারে। তবে রাতে কাউন্সিলরের বাসায় কারা কেন হামলা করেছে, তিনি জানেন না।
ছফুর বাসায় হামলার বিষয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণ করেন ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এলাকাবাসী তাঁদের জ্বলায় অতিষ্ঠ। রাতে তাঁর বাসায় হামলার ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ ছিলেন। এলাকাবাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এমনটি করে থাকতে পারেন। তাঁর (আজাদুর) বাসায় হামলার ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
কাউন্সিলর আজাদুরের অনুসারীদের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে মাদকসেবী, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দানকারী হিসেবে পরিচিত শেখ নজরুল ইসলাম ওরফে বিজয়, রাব্বী, রিয়াজুল, সুহেল, নাসির, সামাদসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে নগরের ভাটাটিকর এলাকায় আজাদুরের পৈতৃক ভিটায় হামলা করেন। পরে হামলাকারীরা নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় কাউন্সিলরের বাসভবনেও হামলা করে জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। একই সঙ্গে তাঁরা আজাদুরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসায়ও হামলা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।