শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়িতে করে ভাগনির বিয়েতে যাওয়ার পথে খাদে পড়ে এক তরুণ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে সদর উপজেলার নয়ন মাতবরকান্দি এলাকায় ডোমসার-কাজীরহাট সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম নীরব মাতবর (২৫)। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আবুরা গ্রামের ইসহাক মাতবর ও আনোয়ার বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। তিনি ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতেন। ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ভাগনির বিয়েতে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গঙ্গানগর গ্রামে যাচ্ছিলেন নীরব মাতবরসহ কয়েকজন। ডোমসার-কাজীরহাট সড়কের নয়ন মাতবরকান্দি এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনচালিত অপর একটি ভ্যান তাঁদের ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা নীরব মাতবরসহ পাঁচ যাত্রী সড়কের পাশে খাদে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে ভ্যানটি তাঁদের ওপর পড়ে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে নীরব চেতনা হারিয়ে ফেলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নীরবের বাবা ইসহাক মাতবর, মা আনোয়ারা বেগমসহ স্বজনেরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন।
নীরবের মা আনোয়ারা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার বুকের মানিককে তোমরা জাগিয়ে তোলো। তার মুখে রক্ত কেন? আমার মানিক ঘুমিয়ে থাকলে কে আমাকে মা বলে ডাকবে?’
নীরবের বাবা ইসহাক মাতবর বলেন, দু-এক মাসের মধ্যেই নীরবকে বিয়ে করানোর কথা ছিল। তেমনই প্রস্তুতি নিয়ে মেয়ে খোঁজা হচ্ছিল। ভাগনির বিয়েতে যাওয়ার পথে তাঁর ছেলে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। বিষয়টি তিনি ভাবতেই পারছেন না।
সদর উপজেলার পালং মডেল থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহীম পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্যান ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে ধাক্কা দিলে এক যাত্রী খাদে পড়ে মারা গেছেন। ধাক্কা দেওয়া ভ্যানটির চালক ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করা যায়নি। আর নিহত তরুণের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় কোনো মামলা করা হয়নি। সুরতহাল করার পর পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।