কোটা বাতিলের দাবি

২৫ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন তাঁরা।

অবরোধের ফলে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছাত্রসমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে তাঁরা আন্দোলন করেন। এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল। এ সময় তাঁরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল। পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন বাংলায় সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছেন। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন। এদিকে কোটা চাকরিতে বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। অথচ কোটাধারী শিক্ষার্থীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই তাঁরা বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার চান। চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোড়ার মতো।

দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে সেখানে বসে পড়েন। তাঁরা কোটাবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ২৫ মিনিট মহাসড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা আবার ক্যাম্পাসে চলে যান।

প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ মিনার এলাকা ও মহাসড়কে কর্মসূচি পালন করে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় চেয়েছিলেন। মহাসড়কে এটুকু সময় থাকার পর তাঁরা ক্যাম্পাসের ভেতর চলে যান।