ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এক যুবদল নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোশারফ হোসেন (৩৮)। রোববার দুপুরে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
মোশারফ হোসেন উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের সদস্য। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মোশারফ হোসেন গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলার আসামি ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলামের সহযোগী।
উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গিয়ে রবিউল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন। দুই দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে তিনি দক্ষিণ মঙ্গলকান্দি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। রোববার দুপুরে গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। এরপর তাঁকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, মোশারফকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মোশারফ নিজেকে রবিউল ইসলামের বন্ধু বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, ভাঙচুর, গাড়ি ও হাসপাতালে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি। তাঁকে এখনো থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। মোশারফের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতা, বিস্ফোরক, হত্যা, চুরি-ডাকাতি, মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।