রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে ওই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বাঘা পৌর মেয়র ছাড়া গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন মজনু, টুটুল, আবদুর রহমান ও স্বপন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
ডিবির পক্ষ থেকে গতকাল রাতে জানানো হয়, রাজশাহীর বাঘা থানায় করা একটি হত্যা মামলায় ওই আসামিদের গ্রেপ্তার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। পরে তাঁদের রাজশাহী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ তাঁদের রাজশাহীতে আনা হয়। বিকেলে তাঁদের আদালতে তোলে পুলিশ।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও গণমাধ্যম মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
গত ২২ জুন অনির্বাচিত দলিল লেখক সমিতির কমিটির জেরে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা চত্বরের ভেতর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। গত ২৬ জুন বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় এ নিয়ে মোট ১৫ জন গ্রেপ্তার হলেন।