নড়াইলের লোহাগড়ায় সালিস বৈঠক চলাকালে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর প্রতিপক্ষের একজন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চর পাংখারচর গ্রামে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে জমিজমার বিরোধ নিয়ে ওই সালিস বসেছিল।
হত্যার শিকার ব্যক্তির নাম এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেব (৬০)। তিনি উপজেলার চর পাংখারচর গ্রামের আলফু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় দলিল লেখক ছিলেন। খবর শুনে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম কেরামত মোল্যা (৭২)। তিনি উপজেলার একই গ্রামের রউফ মোল্যার ছেলে।
মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে জমিজমার বিরোধ নিয়ে ওই সালিস বসেছিল।
পুলিশ জানায়, এস এম বরকত আলীর সঙ্গে কেরামত মোল্যার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য ইতনা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে নিয়ে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চর পাংখারচর চৌরাস্তা বাজারে সালিস বৈঠকে বসেন। জমির কাগজপত্র দেখার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরে হাতাহাতি হয়। এ সময় কেরামত মোল্যার ছেলে নেপাল মোল্যা ও রকিব মোল্যার নেতৃত্বে ১০-১২ জন লাঠি দিয়ে বরকত আলীর মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি মারা যান।
বরকত আলীর মৃত্যুর খবর শুনে কেরামত মোল্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানে তিনি মারা যান।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মাথায় লাঠির আঘাতে এস এম বরকত আলী মারা গেছেন। এ খবর শোনার পর কেরামত মোল্যা অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।