রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র

ভোটার ২০৪৩, প্রথম পৌনে এক ঘণ্টায় ভোট দিলেন ১৬ জন

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে প্রথম পৌনে এক ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ১৬ জন।

আজ বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের নারী ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৩ জন।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একজন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রটিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৯১১ জন। হিজড়া ভোটার আছেন ২ জন। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাংশা উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৫০টি।

এবারের উপজেলা নির্বাচন চার পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ প্রথম পর্বে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হচ্ছে।

পাংশা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর একজন ফরিদ হাসান। তিনি এই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। আগের মেয়াদেও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর প্রতীক আনারস। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন।

আরেক প্রার্থী খন্দকার সাইফুল ইসলাম। তিনি মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পাঁচবারের চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাঁর প্রতীক মোটরসাইকেল। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্র বলছে, রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী–২ আসনের (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালি) সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম সমর্থন দিয়েছেন সাইফুলকে। এই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে সরব ছিলেন রেলমন্ত্রীর ছেলে আশিক মাহমুদ।

আজ সকালে মাছপাড়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের সারি নেই। কিছু সময় পরপর যাঁরাই ভোট দিতে আসছেন, নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

অনিমা লস্কর নামের এক নারী ভোট দেওয়ার পর এই প্রতিবেদককে বলেন, সকাল সকাল ভোট দিলে ঝামেলা কম হয়। তাই সকালেই ভোট দিতে এসেছেন।

কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, আনারস প্রতীকের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। মোটরসাইকেল প্রতীকের পাঁচজন পোলিং এজেন্ট রয়েছেন। তাঁরা কেন্দ্রের পাঁচটি ভোটকক্ষের দায়িত্বে আছেন।

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আনারস প্রতীকের কোনো এজেন্ট আসেননি। ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরই আনারস প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছিলেন। বিষয়টি তিনি প্রার্থীকে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর নিজের এলাকা এই মাছপাড়া। এই এলাকায় তাঁর জনসমর্থন বেশি।