অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম ও তাঁর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম ওরফে লিপি
অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম ও তাঁর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম ওরফে লিপি

বগুড়ায় স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা, অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলমকে তলব

সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) হামিদুল আলমকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। হামিদুল আলমের স্ত্রী শাহাজাদী আলম ওরফে লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আজ বুধবার বগুড়া-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং বগুড়ার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোসা. শাহনাজ পারভীন এ নোটিশ দেন। নোটিশে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছি। এ কারণে ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৮ দিনের মেডিকেল ছুটিতে বগুড়া শহরের বাসায় বিশ্রামে আছি।’ তিনি দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচারণা শুরুর পর তিনি নির্বাচনী এলাকায় যাননি। নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর স্ত্রীর বিজয় ঠেকাতে একটি পক্ষ ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম নোটিশ জারির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাড়িতে এসে অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম তাঁর স্ত্রী শাহাজাদী আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, এমন একটি অভিযোগ অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের নজরে আসে। এরপর স্বপ্রণোদিত হয়ে আজ ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সশরীর হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নোটিশ জারি করা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, হামিদুল আলম বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত। চাকরি থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে তিনি আসন্ন নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রী শাহাজাদী আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো নির্বাচনী এলাকা বিপর্যস্ত করে রেখেছেন। তা ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যা পেশাগত অসদাচরণের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০০৮–এর ১৪ (১) ও (২) নম্বর বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

নোটিশে কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না, তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।