বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকারের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে। সুতরাং অতি উৎসাহী হয়ে কেউ জনগণের ওপর নির্যাতন চালাবেন না। নির্যাতনকারীদের তালিকা হচ্ছে। আমরা করছি না, জনগণই তালিকা করছে। সরকার পরিবর্তনের পর নাম ধরে ধরে এদের বিচার হবে।’
সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, আগামী ৪ তারিখে সারা দেশে বিএনপি যে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে, এটা চলমান আন্দোলনের অংশ। আগের সমাবেশের চেয়ে এবারের সমাবেশে বেশি লোকসমাগম হবে। ৪ তারিখের পর থেকে দেশজুড়ে লাগাতার কর্মসূচি আসবে। কোনো ষড়যন্ত্র করে বিএনপির এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন রোখা যাবে না। যতই নির্যাতন হোক, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হোক, হামলা মামলা হোক আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগে সমাবেশ সফল হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সহযোগিতা না করেন, বাধা দেবেন না। পুলিশ প্রশাসনের সবাই ফ্যাসিস্ট—এটা আমরা মনে করি না। কিন্তু দুয়েকজনের জন্য পুলিশের সবার বদনাম হচ্ছে। সুতরাং অতি উৎসাহী হয়ে কেউ জনগণের ওপর নির্যাতন চালাবেন না।’
সারা দেশে গ্রেপ্তার বিএনপির সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি করে সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, মামলা দিয়ে হামলা করে জেলে দিয়ে বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না। বর্তমান সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথ ছাড়বে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী। সভা সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া ও মো. নাজমুল আলম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লা, রুহুল হোসাইন, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে গণসমাবেশের জন্য আমরা অনুমতি চেয়েছি। বাসসহ যাবতীয় পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হলে আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিকল্প পথে নেতা–কর্মীরা ময়মনসিংহে আসবেন। তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ গণসমবেশ সফল করতে কয়েকটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবেশে যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জে থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেকোনো মূল্যে গণসমাবেশ সফল করা হবে।’