নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় সাত ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর মো. হিমেল (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় দিকে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনের পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হিমেলের দুই বন্ধুসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হিমেল উপজেলার পিপরুল গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে এবং পিপরুল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ফারুক পিপরুল ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার।
নলডাঙ্গা থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার কথা বলে হিমেল বাড়ি থেকে বের হয়। ইফতারের পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার মুঠোফোন ট্র্যাকিং করে সর্বশেষ তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পায়। এরপর পুলিশ ওই কিশোরসহ আরেক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের বলা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ রাত দেড়টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবনের পেছন থেকে ভুট্টার পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করে। রাতে পুলিশ একই এলাকা থেকে আরও দুই কিশোরকে আটক করে। নিহত কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
হিমেলের বাবা ফারুক হোসেন বলেন, তাঁর ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার কথা বলে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা নিখোঁজের পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখে পলিথিন গোঁজা ছিল। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে কী কারণে ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ হিমেলকে উদ্ধারে মাঠে নামে। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। রাতেই সন্দিগ্ধ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেখানোমতে হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে হিমেলকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও প্রেমঘটিত বিরোধের ঘটনা থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে।