হেমন্তের শেষ দিকে এসে দেশের সর্ব–উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে রাতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে চলা যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
আজ রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়—১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরা কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকালবেলা সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে। কেউ সবজিখেতে সংগ্রহ করছেন সবজি, কেউ তা ভ্যানে করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন বাজারে। বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার কৃষিশ্রমিক মো. হাজিমদ্দিন বলেন, ‘এইবার শীতখান কনেক দেরি করে আসিল, কিন্তু আইজকার মতো কুয়াশা এই বছর আর হয়নি। খুব ঠান্ডা লাগেছে।’
শহরের রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কাইলাকা রাইত থেকে কুয়াশা পড়েছে। সারা রাইত মনে হচে বৃষ্টির শব্দ। সকালে তো ১০ হাত দূরোতো দেখা যায় না। ঠান্ডায় অবস্থা খারাপ। ঠান্ডার ভয়তে শহরোত লোকজনও কম।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও আজ সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এ বছরের মধ্যে আজ সবচেয়ে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে না পারায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জন্য প্রায় সারা দিনই শীত অনুভূত হবে।